![]() |
Photo Credit: digestposts.blogspot.com |
গ্রামে প্রায় রাতের বেলায় একদল কুকুর সমস্বরে চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকে। কথিত আছে যে, এই চিৎকার চেঁচামেচি অর্থ হলো গ্রামে হয়তো কোন মহামারী আসছে। তার সতর্কতা হিসাবেই কুকুরের এই চিৎকার চেঁচামেচি। গ্রামে ওলা উঠা বা কলেরা রোগের প্রাদুর্ভাব সম্পর্কে এরকম কথা বহুল প্রচলিত ছিলো। কিন্তু এটা কি সত্যিই কুসংস্কার নাকি বিজ্ঞান এ নিয়ে রয়েছে নানা তর্ক-বিতর্ক। তবে অনেকে বলছেন এটা কুসংস্কার নয়। এর পিছনে রয়েছে বিজ্ঞান।
এ ব্যাপারে বিজ্ঞান বলছে, কুকুর-বিড়ালদের মধ্যে সেন্সটা অনেক বেশি। তাই কোনো প্রাকৃতিক বিপর্যয় আগে আবহাওয়া এবং তার পরিমন্ডলের যে পরিবর্তন হয় তা বুঝতে পারে এই শ্রেণির কুকুর-বিড়াল। আর তাই আতঙ্কে কান্না শুরু করে দেয়। তাই অনেকেই বলছেন, বিষয়টির মধ্যে শুধুই কুসংস্কার আছে তা মোটেই নয়। রয়েছে বিজ্ঞানও।
আমাদের দেশে আরও একটা প্রচলিত কুসংস্কার হলো-খাওয়ার পরে গা মোচড় দিতে নেই, তাতে নাকি খাবার কুকুরের পেটে চলে যায়!!! মজার না??
ভারতের কিছু অঞ্চলে প্রচলিত মিথ হলো কুকুরের কামড়ে মহিলারা গর্ভবতী হয়ে যায় এবং কুকুরছানা প্রসব করে!!
প্রাচীন গ্রীস ও রোমের লোকেরা বিশ্বাস
করতো যে, কুকুর শরীরের কোন আক্রান্ত অংশ চেটে দিলে সেই স্থান আরোগ্য লাভ করে।
আর ফ্রান্সের প্রচলিত মিথটা শুনবেন?
ফরাসীরা বিশ্বাস করে যে, চলার পথে বাম পায়ে কুকুরের বিষ্ঠা লাগা সৌভাগ্য বয়ে আনে।
এন্সাইক্লোপেডিয়া অব সুপারস্টিশন বইয়ের
তথ্য মতে, অপরিচিত কুকুর দেখা অতি সৌভাগ্যের প্রতীক। সাতটি আঙ্গুলযুক্ত কুকুর মৃত
মানুষের আত্মাকে দেখতে পায়।
ইউরোপের অনেক দেশে কোন দম্পতির চলার
পথে মাঝখান দিয়ে কুকুর চলে যাওয়াকে নিকটবর্তি ঝগড়ার পুর্বাভাষ মনে করা হয়।
![]() |
Photo Credit: http://tristatekennels.com/stop-barking-night/ বিঃ দ্রঃ এসব নিছকই কুসংস্কার। এসবের কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। চলবে............................ |
ভালো লাগলো......
ReplyDeleteinteresting.....
ReplyDeletesuperb!!!
ReplyDelete