গিরগিটীঃ দূর থেকে নাভির রক্ত
শুষে নেয়?? ঈশ্বরের বার্তাবাহক!!!!!
বাংলাদেশের অনেক এলাকার মানুষ
বিশ্বাস করে যে, গিরগিটী দূর থেকে মানুষের নাভি দিয়ে রক্ত চুষে নিতে পারে। তাই
আমরা ছোটবেলায় গিরগিটী দেখলেই নাভিতে থুতু দিতাম। গিরগিটী নিয়ে আরও একটি ধারণা
প্রচলিত ছিলো যে, গিরগিটীর লেজ সোমবারে কাটতে পারলে ঐ লেজ দিয়ে বানানো তাবিজ বাচ্চাদের
বিছানায় প্রস্রাব করা বন্ধ করবে।
এবার একটু বাংলাদেশের বাইরে যাওয়া
যাক, আফ্রিকার কিছু মানুষ বিশ্বাস করে যে, গিরগিটী যদি কারো ত্বক স্পর্শ করে তবে
সেই জায়গাটা অসার হয়ে যায়। চামড়াসহ কেটে ফেলা ছাড়া আর কোন উপায় থাকেনা। এও মনে করা
হয় যে, কোন অবিবাহিতা মেয়ের গিরগিটীর চোখে চোখ পড়লে সে আর বর পায়না। সো বি
কেয়ারফুল!!!!!!!
মাদাগাস্কার দ্বীপের অধিবাসিরা মনে
করে যে, তাদের পুর্বপুরুষের আত্মা গিরগিটী হয়ে পৃথিবীতে আসে। সর্বদা মানুষের ক্ষতি
সাধনের জন্য চেষ্টা করে। সেজন্য সেসব মানুষ গিরগিটীকে এড়িয়ে চলে।
মজার একটা কুসংস্কার প্রচলিত আছে
বান্টু উপজাতিদের মধ্যে। তারা বিশ্বাস করে যে, সৃষ্টিকর্তা তার সকল সৃষ্টি শেষ
হলে, গিরগিটীকে দিয়ে একটি বার্তা পাঠালেন মানুষের নিকট। বার্তাটি হল মৃত্যুর পর
মানুষ আবার পুনর্জীবন লাভ করবে। কিন্তু এই বার্তা টিকটিকি আড়িপেতে শুনে ফেলে। কিন্তু
সে বার্তাটা ঠিকমতো না বুঝে দ্রুত মানুষের কাছে গিয়ে বার্তা দেয় যে, মৃত্যুর পর আর ফেরার উপায় নাই। মানুষ সেটাই
বিশ্বাস করে। যতক্ষণে গিরগিটী পৌঁছে তার বার্তা দেয়, তখন মানুষ তাকে অবিশ্বাস করে।
তাকে মিথ্যাবাদী বলে তাড়িয়ে দেয়।
তাই সেখানকার অধিবাসীরা গিরগিটীকে
সৃষ্টিকর্তার বার্তাবাহক হিসেবে বিবেচনা করে থাকে। তাদের মধ্যে এই বিশ্বাস এতো
শক্তিশালী যে, খ্রিষ্টান ধর্মপ্রচারকেরা বান্টুদের মধ্যে ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে
এই কথিত গিরগিটী জিসু খ্রিস্টের সাথে তুলনা করে। এতে তারা বেশ সফলও...।।
বিঃদ্রঃ এগুলো একেবারেই কুসংস্কার।
এর কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।
Cameleon!!!!What a interesting creature it is!!
ReplyDeleteআমিও নাভিতে থুতু দিয়েছি
ReplyDeletevalo laglo
ReplyDelete