Thursday, January 31, 2019

গিরগিটীঃ দূর থেকে নাভির রক্ত শুষে নেয়?? ঈশ্বরের বার্তাবাহক!!!!!

পর্ব-৪
গিরগিটীঃ দূর থেকে নাভির রক্ত শুষে নেয়?? ঈশ্বরের বার্তাবাহক!!!!!
বাংলাদেশের অনেক এলাকার মানুষ বিশ্বাস করে যে, গিরগিটী দূর থেকে মানুষের নাভি দিয়ে রক্ত চুষে নিতে পারে। তাই আমরা ছোটবেলায় গিরগিটী দেখলেই নাভিতে থুতু দিতাম। গিরগিটী নিয়ে আরও একটি ধারণা প্রচলিত ছিলো যে, গিরগিটীর লেজ সোমবারে কাটতে পারলে ঐ লেজ দিয়ে বানানো তাবিজ বাচ্চাদের বিছানায় প্রস্রাব করা বন্ধ করবে।
এবার একটু বাংলাদেশের বাইরে যাওয়া যাক, আফ্রিকার কিছু মানুষ বিশ্বাস করে যে, গিরগিটী যদি কারো ত্বক স্পর্শ করে তবে সেই জায়গাটা অসার হয়ে যায়। চামড়াসহ কেটে ফেলা ছাড়া আর কোন উপায় থাকেনা। এও মনে করা হয় যে, কোন অবিবাহিতা মেয়ের গিরগিটীর চোখে চোখ পড়লে সে আর বর পায়না। সো বি কেয়ারফুল!!!!!!!
মাদাগাস্কার দ্বীপের অধিবাসিরা মনে করে যে, তাদের পুর্বপুরুষের আত্মা গিরগিটী হয়ে পৃথিবীতে আসে। সর্বদা মানুষের ক্ষতি সাধনের জন্য চেষ্টা করে। সেজন্য সেসব মানুষ গিরগিটীকে এড়িয়ে চলে।
মজার একটা কুসংস্কার প্রচলিত আছে বান্টু উপজাতিদের মধ্যে। তারা বিশ্বাস করে যে, সৃষ্টিকর্তা তার সকল সৃষ্টি শেষ হলে, গিরগিটীকে দিয়ে একটি বার্তা পাঠালেন মানুষের নিকট। বার্তাটি হল মৃত্যুর পর মানুষ আবার পুনর্জীবন লাভ করবে। কিন্তু এই বার্তা টিকটিকি আড়িপেতে শুনে ফেলে। কিন্তু সে বার্তাটা ঠিকমতো না বুঝে দ্রুত মানুষের কাছে গিয়ে বার্তা দেয় যে,  মৃত্যুর পর আর ফেরার উপায় নাই। মানুষ সেটাই বিশ্বাস করে। যতক্ষণে গিরগিটী পৌঁছে তার বার্তা দেয়, তখন মানুষ তাকে অবিশ্বাস করে। তাকে মিথ্যাবাদী বলে তাড়িয়ে দেয়।
তাই সেখানকার অধিবাসীরা গিরগিটীকে সৃষ্টিকর্তার বার্তাবাহক হিসেবে বিবেচনা করে থাকে। তাদের মধ্যে এই বিশ্বাস এতো শক্তিশালী যে, খ্রিষ্টান ধর্মপ্রচারকেরা বান্টুদের মধ্যে ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে এই কথিত গিরগিটী জিসু খ্রিস্টের সাথে তুলনা করে। এতে তারা বেশ সফলও...।।

বিঃদ্রঃ এগুলো একেবারেই কুসংস্কার। এর কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।

Wednesday, January 30, 2019

ডলফিন কি মানুষে পরিবর্তিত হতে পারে? দেখুন কুসংস্কার কি বলে.............

পর্ব-৩
গোলাপি ডলফিন ও মানুষ!!!!!!!!

আপনি কি কখন গোলাপি ডলফিন দেখেছেন? এরা দক্ষিন আমেরিকা মহাদেশের আমাজন নদীতে বসবাস করে। আমাজানের মানুষের মাঝে প্রচলিত আছে যে, গোলাপি ডলফিন একসময় মানুষ ছিলো। তারা একদিন হঠাত করে মানুষ থেকে গোলাপি ডলফিনে পরিণত হয়। এরা যেকোনো সময় তাদের রূপ পরিবর্তন করে মানুষ থেকে ডলফিনে আবার ডলফিন থেকে মানুষে পরিণত হতে পারে। এরা এখন নাকি লোকালয় থেকে ছোটবাচ্চাদের ধরে নিয়ে যায়। তারপর তাদের মানুষ থেকে গোলাপি ডলফিনে পরিণত করে।  আর একটা কথা শুনবেন? এরা যদি নদীর পাড়ে কোন কুমারী মেয়েকে একা পায় তবে সাথে সাথে মানুষে রূপান্তরিত হয়ে ঐ মেয়েকে ধর্ষণ পর্যন্ত করে!!!!!!!!!!!!
মজার না ব্যপারটা??????????? 

রুপকথার কল্পনায় গোলাপি ডলফিন
  https://banglaupdateknowledge.blogspot.com/
বিঃ দ্রঃ এসব নিছকই কুসংস্কার
চলবে......

Tuesday, January 29, 2019

সাপঃ ওরে বাপরে বাপ.......

পর্ব-২
Photo Credit: inkhammer.wordpress.com
সাপ সম্পর্কে কত রকম কুসংস্কারই না চালু আছে আমাদের মাঝে । সাপুড়েরা নানারকম আষাঢ়ে গল্প করে মানুষকে বিভ্রান্ত করে চলেছে নিয়মিত । বীণ বাজালে সাপ ছুটে আসে একথা বিশ্বাস করার লোকের অভাব নেই । মালাবার পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারী লোকেরা বিশ্বাস করে যে, পুরুষ সাপ সতী ও যুবতী মেয়েদের প্রেমে পড়ে যায়। একবার প্রেমে পড়লে ঐ সাপের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া দুষ্কর। ঐ সাপেরা তাদের প্রেমিকাদের দংশন করেনা। তাই, এখানকার লোকেরা যুবতী মেয়েদের ঝোপ-ঝাড়ের আশেপাশে যেতে দেয়না। সাপ নিয়ে কুসংস্কার বিষয়ে আমার শিক্ষক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ড. নুরজাহান সরকারের লিখা প্রবন্ধে যেসব কুসংস্কার নিয়ে লিখেছেন তা হলো-

সাপের মাথায় মণি আছে!
সাপের মাথায় মণি আছে বলে গ্রামগঞ্জে, চলচ্চিত্রে যে গল্প প্রচলিত আছে তা ভিত্তিহীন। সাপের মাথায় কোনো মণি নেই বা মণি থাকার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তিও নেই। সাপ তার জীবদ্দশায় প্রথম দিকে ঘন ঘন এবং পরবর্তী সময়ে নির্দিষ্ট সময় পর পর খোলস বদলায়। এই খোলস সারা শরীর থেকে খুলে গেলেও মাথার দিকে কিছুটা আটকে থাকে এবং আস্তে আস্তে সেটা শুকিয়ে শক্ত হয়ে খাড়া অবস্থায় রূপ নেয়। এই খোলসে চাঁদনি রাতের আলো কিংবা যে কোনো আলো পড়লে চকচক করে ওঠে। এটা থেকেই সাপের মাথায় মণির ধারণার সৃষ্টি হয়েছে।
Photo Credit: http://hchm.org

সাপ দুধ খায়!
সাপ কখনোই দুধ খায় না। সাপের মুখের গঠন দুধ খাওয়ার উপযোগী নয়। এটি একেবারেই মানুষের তৈরি ভুল ধারণা ও অপপ্রচারসাপ নানা প্রকার পোকামাকড় ও ইঁদুর খেয়ে ফসল সুরক্ষায় ভূমিকা রাখে। কোনো কোনো সাপ শুধু সাপই খায়, যেমন- রাজগোখরা। 

সাপ নিজের বিষ নিজে শোষণ করে!
সাপ নিজের বিষ শোষণ করার কোনো প্রশ্নই আসে না। এ ধারণার জন্ম দিয়েছে সাপুড়েরা। আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে লোকজনের অজ্ঞানতার সুযোগে একচেটিয়া ব্যবসা গড়ে তুলেছে তারা। এদেরকে ওঝা বলা হয়। সাপে কাটা রোগীর জন্য মানুষ তাদের ডেকে আনে এবং এসব ওঝারা এমন ভাব দেখায়, যেন যে সাপে কামড় দিয়েছে সে সাপটিকে এনেই বিষ শোষণ করাবে। এজন্য আসার সময় অনেক দিনের ক্ষুধার্থ সাপ রোগীর বাড়ির কাছাকাছি কোনো ঝোপে ছেড়ে দিয়ে আসে। (সাপ মাসের পর মাস না খেয়ে বাঁচতে পারে, তবে দুর্বল হয়ে পড়ে) এরপর রোগীর বাড়িতে এসে কিছুক্ষণ বিড়বিড় করে মন্ত্র উচ্চারণ করে এবং বলে, সাপ বাড়ির কাছে এসে গেছে। এমন ভাব দেখায়, যেন খুঁজে বেড়াচ্ছে এবং একসময় ঝোপে হাত দিয়ে সাপ বের করে নিয়ে আসে। মানুষ সাপুড়ের এই বাহাদুরিতে মুগ্ধ হয়।

সাপের পা যে দেখবে সে রাজা হবে!
আসলে সাপের কোনো পা নেই। সুতরাং রাজা হওয়ারও কোনো সুযোগ নেই। এটি অপকথন ছাড়া আর কিছুই নয়। সাপের পা দেখার জন্য কিছু অবুঝ লোক কিংবা কোনো শিশু ঝোপঝাড়ে যেতে পারে। এতে সাপে কামড়ানোর আশংকা বেড়ে যেতে পারে।

তন্ত্রমন্ত্র!
ওঝার তন্ত্রমন্ত্র বলে যে কথন রয়েছে, তা ভিত্তিহীন। ওঝা সাপ ধরার জন্য যে ক্ষমতা দেখায় বা সাপের বিষ নামানোর জন্য যে ভাবভঙ্গি করে, তা তন্ত্রমন্ত্রভিত্তিক নয়। ওঝা সাপ ধরার ব্যাপারে যে বিশেষজ্ঞ, এতে কোনো সন্দেহ নেই। সে বিড়বিড় করে ঠিকই, তবে লোক দেখানো। আসলে এরা বংশপরম্পরায় সাপ ধরার কৌশল রপ্ত করে।
Photo Credit: www.popsci.com

বাঁশির সুরের তালে তালে সাপ দোলে!
বাঁশির কোনো সুরই সাপ শোনে না। সাপুড়েরা বাঁশি বাজানোর তালে তালে মাঝে মধ্যে মাটিতে আঘাত করায় কম্পনের ফলে সাপের অনুভূতি সজাগ থাকে। বাঁশির এদিক-ওদিক দোলানোর ভঙ্গি দিয়ে সাপুড়ে এক আবহ তৈরি করে মানুষকে মুগ্ধ করে। যে সাপ নিয়ে তারা খেলা দেখায় তার সবই প্রায় বিষধর। এতে দর্শকের কাছে সাপুড়েরা বাঁশির বিষয়টিকে আরও বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে পারে। প্রকৃতপক্ষে এসব সাপের বিষদাঁত ভেঙে ফেলায় এরা বিষ প্রয়োগ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে, তাই এটা সম্ভব হয়।
Photo Credit: http://www.lightnfocus.com
সাপ ও বেজির যুদ্ধে বেজি পাতা দিয়ে বিষক্রিয়া নষ্ট করে!
সাপ ও বেজির সম্পর্ক ভালো নয়। কারণ বেজি সাপ খায়, বিশেষ করে সাপের বাচ্চা। বেজি প্রধানত প্রচুর ইঁদুর ও পোকামাকড় খায়। সাপের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণেও এর জুড়ি নেই। সাপ যখন প্রথমে মাথা তুলে বেজিকে আক্রমণ করে, তখন বেজি ক্ষিপ্রতার সঙ্গে সাপকে আক্রমণ করে। সাপ যতবার কামড় দিয়ে বিষ ঢালে, ততবারই তা বেজির খাড়া লোমের ওপর গিয়ে পড়ে। বেজি কৌশলে চট করে ঝোপে লুকিয়ে সামান্য বিশ্রাম নিয়ে আবার ফিরে আসে। ইতিমধ্যে সাপ মাথা নামায় এবং বেজি এসেই সাপের মাথা কামড়ে ধরে। বেজির ঝোপে ঢোকার কারণে মানুষ মনে করে সে এক প্রকার পাতা কামড়ের স্থানে ছুঁইয়ে আসে, যে পাতা সাপের বিষ থেকে বেজিকে বাঁচায়। আসলে এর কোনো সত্যতা নেই।

সাপ প্রতিশোধপরায়ণ!
সাপ ইঁদুরকে কামড় দিয়ে তাকে খাওয়ার জন্য খুঁজতে থাকে। ইঁদুর সাপের কামড়ে আশপাশেই অবশ হয়ে পড়ে থাকে। সাপ ইঁদুরটি খুঁজে বের করে খায়। এ দৃশ্য দেখে মানুষ অনুমান করে নিয়েছে, সাপকে কেউ ব্যথা দিলে সে কামড়াবেই। এটা পুরোপুরি সত্য নয়।

সাপুড়েদের মৃত্যু সাপের হাতে!
অসাবধানতায় সাপুড়ের সাপের কামড়ে মৃত্যু ঘটতে পারে। সাপুড়েরা জানে, সাপের বিষদাঁত ভেঙে দিলে আর কোনো ভয় নেই। কিন্তু এটা জানে না যে, বিষদাঁত ভাঙলেও আবার তা গজায়।

বিঃদ্রঃ এসব নিছকই কুসংস্কার।


সংকলনেঃ মোঃ আব্দুস সামাদ, সাবেক শিক্ষার্থী, প্রাণিবিদ্যা বিভাগ, ঢাবি। 
চলবে................

Monday, January 28, 2019

প্রাণীদের নিয়ে মানুষের যতো কুসংস্কার

পর্ব-১
Photo Credit: www.priyo.com/articles/some-prejudices-review-in-the-society-20170920/
কোন বিষয়ে তথ্য প্রমাণ ছাড়া শুধু প্রচলিত মিথ বা লোককথাকে বিশ্বাস করাই কুসংস্কার। বিংশ শতাব্দীর শেষ দশকে আজ যখন মানুষ মঙ্গলে পাড়ি জমানোর আয়োজন করছে, মহাশূন্যে বসতি স্থাপনের তোড়জোড় করছে, বিভিন্ন মরণ ব্যাধির বিরুদ্ধে তার অস্ত্রকে করে তুলেছে আরো শাণিত, মাতৃগর্ভের বাইরে সন্তান ধারণের চিন্তা করছে ঠিক সে সময়েও কিছু হাস্যকর কুসংস্কার সারা পৃথিবীর মানুষ লালন করে আসছে। কোন কোন সংস্কারকে আমরা কুসংস্কার বলি, কোন কোনটাকে ভালো মন্দ কিছুই না বলে প্রশ্রয়ের দৃষ্টিতে দেখি । যেমন অনেকে ১৩ সংখ্যাটিকে এড়িয়ে চলেন । আনলাকি থার্টিন বেশ প্রচলিত একটি কুসংস্কার । ভ্রান্ত বিশ্বাস-সংস্কারের মধ্যে যেগুলোর কোন প্রামাণিক ভিত্তি নেই ।  পরীক্ষার দিন ডিম খেতে বারণ। তাতে নাকি পরীক্ষা খারাপ হয় । সন্তান জন্মাবার পর মা ও শিশুকে প্রায় এক মাস থাকতে দেয়া হয় আঁতুড় ঘরে । এই আতুঁড় ঘর হলো বাড়ির মধ্যে সবচেয়ে নোংরা একটি ঘর । এই একমাস প্রসূতি মাতাকে এই আঁতুড় ঘরে প্রায় বন্দী করে রাখা হয়, অস্পৃশ্য করে রাখা হয় । অনেকেই ভাবেন আত্মার সাথে আত্মার যোগাযোগ ঘটে টেলিপ্যাথির মাধ্যমে । আধ্যাত্মিক উপায়ে অনেককিছু অর্জন করা যায় । যদিও এধরনের কোন বৈজ্ঞানিক তথ্য-প্রমা এখনো পাওয়া যায় নি । ভাঙা আয়না নিয়ে অনেক দেশেই রয়েছে বদ্ধমূল ভ্রান্ত বিশ্বাস । বাংলাদেশে কুসংস্কারে বিশ্বাসী অনেকে মনে করেন, ভাঙা আয়নায় মুখ দেখলে আয়ু কমে যায় । বিভিন্ন পশুপাখি নিয়েও প্রচুর কুসংস্কার রয়েছে মানুষের মনে । গভীর রাতে পেঁচার ডাক শুনলে অমঙ্গল আশঙ্কায় অনেকেরই গা ছমছম করে । বিভিন্ন প্রাণীদের নিয়ে সারা পৃথিবী ব্যাপী প্রচলিত এরকম কিছু কুসংস্কার নিয়ে আমি লেখার চেষ্টা করছি। আশা করি আপনারা সাথে থেকে উৎসাহ দিবেন। 
প্রাথমিকভাবে যেসব প্রাণীদের নিয়ে প্রচলিত কুসংস্কারগুলো নিয়ে এখানে আলোচনা করবো সেসব প্রাণীর সাধারণ পরিচয় তুলে ধরা হল-
১। সাপঃ সরীসৃপ জাতীয় প্রাণী। এরা Chordata পর্বের Reptilia শ্রেণির শীতলরক্তবিশিষ্ট প্রাণি।
২। ডলফিনঃ এরা স্তন্যপায়ী জলজ প্রাণী। এরা পানিতে বসবাসের জন্য বিশেষভাবে অভিযোজিত হয়েছে।
৩। গিরগিটিঃ এরা সরীসৃপ জাতীয় প্রাণী। এরা Chordata পর্বের Reptilia শ্রেণির অন্তর্গত Squamata বর্গের প্রাণী।  
৪। বিড়ালঃ এরা মাংসাশী স্তন্যপায়ী প্রাণী। বৈজ্ঞানিক নাম Felis catus।
৫। বাদুড়ঃ এরা Chiroptera বর্গের উড়ুক্কু স্তন্যপায়ী নিশাচর প্রাণী। 
৬। প্যাঁচাঃ এরা নিশাচর পাখি। বৈজ্ঞানিক নাম Athene cunicularia।
৭। কুকুরঃ এরা মাংসাশী স্তন্যপায়ী প্রাণী। বৈজ্ঞানিক নাম Canis sp.।
৮। কাকঃ এরা প্রকৃতির ঝাড়ুদার নামে পরিচিত এবং Corvus গণের পাখি। 
৯। টিকটিকিঃ এরা সরীসৃপ জাতীয় প্রাণী। বৈজ্ঞানিক নাম Hemidactylus flaviviridis।
১০। ময়ূরঃ এরা Galliformes বর্গের পাখি। বৈজ্ঞানিক নাম Pavo cristatus। 
১১। হাতিঃ এরা সর্ববৃহৎ স্থলের স্তন্যপায়ী প্রাণী। পৃথিবীতে আফ্রিকান ও এশিয় এই দুইরকম হাতি রয়েছে। বৈজ্ঞানিক নাম Elephus maximus।
১২। প্রজাপতিঃ এরা Lepidoptera বর্গের দিবাচর পতঙ্গ। 
১৩। ইঁদুরঃ এরা Rodentia বর্গের স্তন্যপায়ী ক্ষতিকর প্রাণী। 
১৪। শূকরঃ এরা Artiodactyla বর্গের স্তন্যপায়ী প্রাণী। বৈজ্ঞানিক নাম Sus sus।
১৫। শিয়ালঃ এরা মাংসাশী স্থন্যপায়ী প্রাণী। বৈজ্ঞানিক নাম Canis aureus। 
১৬। নেকড়েঃ এরা মাংসাশী স্তন্যপায়ী প্রাণী। বৈজ্ঞানিক নাম Canis lupus।
১৭। ব্রাহ্মিনি চিলঃ এরা শিকারি পাখি। বৈজ্ঞানিক নাম Haliastur indus।
১৮। র‍্যাটল স্নেকঃ এরা সরীসৃপ জাতীয় প্রাণী। বৈজ্ঞানিক নাম Vipera russelli।
১৯। ব্যাঙঃ এরা উভচর প্রাণী। 
২০। নীলকন্ঠ পাখিঃ এরা ফলাহারি পরিযায়ী পাখি। বৈজ্ঞানিক নাম Coracias benghalensis।
২১। ব্লাক বিটলসঃ এরা Coleoptera বর্গের অন্তর্গত কীটপতঙ্গ। 
২২। অ্যালবেট্রসঃ এরা Diomedeidae পরিবারের সামুদ্রিক পাখি। 
২৩। তেলাপোকাঃ এরা খুব পরিচিত ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ। বৈজ্ঞানিক নাম Periplaneta americana।
২৪। মৌমাছিঃ এরা মানুষ ব্যতিত সবচেয়ে ভালো সামাজিক প্রাণী। বৈজ্ঞানিক নাম Apis indica।
২৫। ঝিঁঝিঁ পোকাঃ এরা Orthoptera বর্গের কীটপতঙ্গ। 

সংকলনেঃ মোঃ আব্দুস সামাদ, সাবেক শিক্ষার্থী, প্রাণিবিদ্যা বিভাগ, ঢাবি। 
চলবে................